এম.এ আজিজ রাসেল :: শহরের প্রসিদ্ধ জুতার দোকান বাটা, খাবার প্রতিষ্ঠান বনফুল, সিজল ও গ্যাসের দোকানসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২টি গ্যাসের দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। বুধবার (৭ অক্টোবর) দিনব্যাপী কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ইমরান হোসাইনের নেতৃত্বে পান বাজার রোড ও খুরুশকুল রাস্তার মাথা সড়কসহ বিভিন্ন জায়গায় বাজার তদারকি অভিযানে এই জরিমানা করা হয়।
অভিযান সুত্রে জানা যায়, মূল্য ঘষামাজা করে বেশি মূল্য রাখা ও অতিরিক্ত দাম নেয়ার অভিযোগের পান বাজারস্থ বাটা শো রুমকে ৭ হাজার টাকা, ওজনে কারচুপির দায়ে বনফুল এন্ড কোং কে ৫ হাজার টাকা, মূল্য ঘষামাজা করে বেশি মূল্য রাখার অপরাধে প্রধান সড়কস্থ বাটার শো-রুম কে ৩ হাজার টাকা ও বাজার ঘাটা কনফেকশনারি দোকান সিজলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া খুরুশকুল রোডে কক্সবাজার এন্টারপ্রাইজে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায় উক্ত প্রতিষ্ঠান সরকার নির্ধারিত ৬০০ টাকার মূল্যের এলপি গ্যাস বিক্রি করছেন ৮৫০ টাকায়। যা এবং মূল্য তালিকায় প্রদর্শন করা হয় ৭৫০ টাকা। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও তিনি বিষয়টা আমলে না নেওয়ায় ভোক্তা অধিকার আইন অনুসারে প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ করা হয়। একই অপরাধে একই এলাকার এস আর গ্যাস বিতানকেও সাময়িক বন্ধ করা হয়।
অভিযানকালে পান বাজার, প্রধান সড়ক এলাকার মুদির দোকান, রেস্টুরেন্ট, বেকারি, গ্যাসের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসময় ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, রান্নাঘরের মান উন্নয়ন, খাবারে কোন প্রকার নিষিদ্ধ পণ্যের ব্যবহার না করা, মূল্য বেশি না রাখা, এবং আগত অতিথিদের সাথে শোভন আচরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। অভিযানে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করেন সদর মডেল থানার এসআই মাজেদুল হকের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ সদস্য।
জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারি পরিচালক মোঃ ইমরান হোসাইন।
পাঠকের মতামত: